পাত্তা পায়নি লাঙ্গল, এক লাখেরও বেশি ভোটে স্পিকার জয়ী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তার নিকটতম একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলামকে ৭১ হাজার ৮০৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি। ভোটের মাঠে নৌকার কাছে পাত্তা পায়নি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান এই আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাত ১০টার দিকে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নৌকা প্রতীকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর আলম মিয়া যাদু ৯ হাজার ১৬ ভোট পেয়েছেন।

এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৪ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯৮ জন ও পুরুষ ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৫২ এবং হিজড়া ভোটার ৪ জন। এ আসনের ১১১টি ভোটকেন্দ্রের ৭১২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ির আসন পীরগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সেইসঙ্গে সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন।

তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। বয়সে তিনি সর্বকনিষ্ঠ স্পিকার হিসেবে সাবেক স্পিকার ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি পীরগঞ্জ আসনের উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি পুনরায় জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুর আলম মিয়া যাদু ছাড়াও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির হুমায়ুন ইজাজ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির জাকারিয়া হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহবুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাকিয়া জাহান চৌধুরী ব্যালটযুদ্ধে ছিলেন।